বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩
মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩
" এসো হে প্রিয় "
এসো এসো হে প্রিয়
এসো এসো
তোমার হিয়ার মাঝে
লুকাবো আজি
করবো চুরি হৃদয় ।
আকাশ জুড়ে আঁকাবো
আলপনা তোমার কেশ-
হবে তুলির ডানা !
এসো এসো হে প্রিয়
এসো এসো
জোছনা রাতে শিউলি
তলে
বসব দুজন
বিরহানলে –
লিখব নতুন গান
বাঁধব অমর সুর ।
শিউলি শেষে বকুল
তলে
গাথবো মালা
কবিতার ছলে
আঁকাবো নতুন দিন
তোমার সনে !
পাবনা , ২৭/১১/
" আলেয়া "
দূরে তোমার অস্পষ্ট অবয়ব
নগ্ন হাত দুটি যেন রাজহাঁসের ডানা
আর; নূপুরের ক্ষীণ ঝংকারে
পুলকিত আমার সর্বস্ব !
ধীরে ধীরে
পৃথিবীর-
সব রুপ ম্লান করে
তুমি আসছ
এগিয়ে
তবু এখনো
তুমি অনেক দূরে !
নূপুরের উচ্ছলিত ক্ষীণ ঝংকারে -
ছুটে যাই
তোমার ঐ নগ্ন হাতে
হাত রাখবো বলে ।
হঠাৎ বাতাসের গতি থমকে দাঁড়ায়
কালো কালো চঞ্চল মেঘে
আকাশ ঢেকে যায়
প্রকৃতি নিরুৎসব- নিরুত্তর থাকে
তাকিয়ে দেখি তুমি নেই !
আবার দূরে তোমার অস্পষ্ট অবয়ব
চন্দ্রালোকিত রাতে নৃত্যরত
অপস্নরীর ন্যয় অজানা পোষাকে ।
ছুটে যাই ! ছুটে যাই ! বারবার-
কিন্তু আলেয়ার আলোর মত
তুমি লুকোচুরি খেলায় মাতো ।
রিক্ত হস্তে
শুধু আমি একা
ফিরে
আসি আবার-
এই
শুন্য নদীর তটে !
" সাম্প্রদায়িক রাজ্য "
সাম্প্রদায়িক
শব্দটা আজকাল বড্ড বেশী আলোচিত
সভা, সেমিনার আর টক শো যাই বলো না কেন
‘সাম্প্রদায়িক’ আজও একটা চাপা অহংকার নিয়ে
বেঁচে আছে ।
সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত চারিদিক
অথচ শব্দটি নিয়ন্ত্রিত শিল্পের রূপে রূপায়িত
হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
দীর্ঘ আদিম কালে যে বীজ বোনা হয়েছিলো রক্তে
তা আজও টগবগ করে ফুটছে ।
কড়িকাঠে মনুষ্যত্বের বলি চড়িয়ে কপচাচ্ছি সাম্প্রদায়িকতার বুলি
আকাশ-বাতাস জয় জয়কার
ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে মুখরিত করছি
মানবতার মুখোশ পরে নির্লজ্জ ভাবে ।
পুরুষত্বের বীর্যের
তেজ আজি পরীক্ষণীয়
সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ
ঘোষণা করে ।
এর শেষ কোথায় ?
অথচ চোখ মেলছি না,
বাগানের অসাম্প্রদায়িক
সদ্য প্রস্ফুটিত
ফুলগুলোর দিকে
কিংবা রাস্তায় ষাটোর্ধ
বৃদ্ধ রিকশা চালকের দিকে ।
দেখছি না – অভুক্ত শীর্ণ
শরীরধারী টোকাই নামি
হাজারো অসাম্প্রদায়িক
শিশুকে
যারা সাম্প্রদায়িক তেজে
বলিয়ান বীর্যের
বিলাসী কোন এক রাতের
অপ্রত্যাশিত ফসল ।
এরা কি হিন্দু,
খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ নাকি মুসলমান ?
এসব প্রশ্নে এরা
দিকভ্রান্ত নয়
এদের চোখে-মুখে ক্ষুধার
রাজ্য, এদের চর্ম-হাড় সর্বস্ব
দেহে শত ফুটো জীর্ণ কাপড়
।
ওরা দিকভ্রান্ত ক্ষুধা
নিয়ে, স্বপ্নহীন জীবন নিয়ে
ওরা লালায়িত এক টুকরা
শীতের কাপড়ের জন্য
কিন্তু ওরা কস্মিন কালেও
‘সাম্প্রদায়িক’ নামের বর্বর শব্দটার
আবেগে আপ্লুত হয়নি ।
তবে ওরা সবাই
সাম্প্রদায়িক ন্যাকা ভাবধারী পুরোহিতের
পবিত্র উপাসনালয় হতে
নিগৃহীত ।
ওরা বাঁচতে চেয়েছে বেঁচে
থাকার জন্য
কোন অহংকারী, নিষ্কর্মা,
অদৃশ্য দেবতার কৃপার জন্য নয় ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
আমার প্রিয় কিছু...
- রবি ঠাকুরঃ- চোখের বালি, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, গোরা, মালঞ্চ, বউ ঠাকুরানীর হাট, রাজর্ষি, নৌকাডুবি, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, দুই বোন, চার অধ্যায়, প্রজাপ্রতির নিবন্ধ, সোনার তরী, গল্প গুচ্ছ সমগ্র, এবং গীতবিতান সমগ্র । - রবীন্দ্রনাথে আমি মনের অব্যক্ত কথা গুলো খুঁজে পাই । রবীন্দ্রনাথ আমাকে প্রশান্তি এনে দেয়, তাঁর গান কবিতা আমার মননে , আমার চিন্তায় বিল্পব ঘটায় । আমার চিত্তের কাছে আবেদন জানায় ।
- বই- পথের পাচালি, অশনি সংকেত, প্রথম আলো-১,২, সেই সময়, পার্থিব, উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, মেমসাহেব, ময়ূরাক্ষী, জোছনা ও জননীর গল্প, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, ন হন্যতে, লা নুই বেঙলি , দেবদাস, পরিণীতা, পল্লি সমাজ, বামুনের মেয়ে, চিত্রনাথ
- চলচিত্র- অশনি সংকেত, অরণ্যের দিবারাত্রি, মেমসাহেব, টেলিভিশন, মনের মানুষ