বহুদিন যাবত কিছু অস্থিরতা নিয়ে বসবাস করছি
কিছু না বলতে পারার হাহাকার
আবার কিছু বলতে পারার ভয়
কিছু মিথ্যা, কিছু সত্য, কিছু প্রেম এবং কিছু অভিনয়
সব আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলার এক নির্দয় চক্রান্তে মেতে উঠছে।
তাই এই সমাবেশে –
ভদ্রমহোদয় এবং ভদ্রমহোদয়াদের সামনে কিছু
পেশ করছি;
কেউ হয়তো শুনছেন না
অনেকে কানে দেশলাইকাঠি ঢুকিয়ে পরামান্দ লাভ করছেন
তাই বলে আমি বলবো না, তা তো হয় না ।
নেতা-নেত্রীদের মতো প্রতিদিন এমন সুযোগ আমার তো আর হবে না;
তাই কিছু বলি ।
কেউ হয়তো শুনছেন না
অনেকে কানে দেশলাইকাঠি ঢুকিয়ে পরামান্দ লাভ করছেন
তাই বলে আমি বলবো না, তা তো হয় না ।
নেতা-নেত্রীদের মতো প্রতিদিন এমন সুযোগ আমার তো আর হবে না;
তাই কিছু বলি ।
বলি সেই অতীতের কথা
যখন সে এলো তখন সে সব খেয়ে এলো
টনকে টন তাজা রক্ত খেলো
মায়ের শুকিয়ে যাওয়া বুকের দুধ খেলো
অভুক্ত শিশুর কান্না খেলো
প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম প্রণয়ের প্রথম
স্পর্শ খেলো
প্রেম-ভক্তি-সততা সু-রাজনীতি সব খেলো !
প্রেম-ভক্তি-সততা সু-রাজনীতি সব খেলো !
অতঃপর এলো, নিরাকার ছেড়ে আকার হয়ে এলো
কিন্তু ততদিনে তার অভুক্ত পেট ধীরে ধীরে বিশাল হয়েছে
যেন দীর্ঘ ক্ষুধিত মন্বন্তর থেকে উঠে আসা এক মস্ত রাক্ষুস !
কিন্তু ততদিনে তার অভুক্ত পেট ধীরে ধীরে বিশাল হয়েছে
যেন দীর্ঘ ক্ষুধিত মন্বন্তর থেকে উঠে আসা এক মস্ত রাক্ষুস !
সেই
থেকে তার
খাওয়া শুরু
রমনায়
সে কিছু খেলো কিছু ছিন্নভিন্ন করে দিলো
রাতের
আধো-আধারে সত্য কিছু মুখকে সে
কুপিয়ে
কুপিয়ে তাদের থলথলে রক্ত মিশ্রিত মাংস খেলো
রাস্তায় রাস্তায় নারীদের বস্ত্র খেয়ে মহাভারতের
রাস্তায় রাস্তায় নারীদের বস্ত্র খেয়ে মহাভারতের
খলনায়ক
হওয়ার পরম গৌরবে গৌরবান্বিত হয়ে
তৃপ্তির
ঢেকুরের আওয়াজটা বেশ মিষ্টি করে বাজালো সে;
আজ
এতদিন পরও তার ক্ষুধা তৃষ্ণা মেটে না
আজও সে রক্ত খায়, আজও সে মালাউনদের ভিটেমাটি খায়
আজও সে রক্ত খায়, আজও সে মালাউনদের ভিটেমাটি খায়
পাশের
বাড়ির পাচুর মায়ের অনুর্বর বুকে ক্ষত সৃষ্টি করে
তার
বয়ষ্ক ভাতাটা কিংবা তার সোমত্ত মেয়েটার যোনিপথটা সে খায়
রসিয়ে
রসিয়ে লালা ঝরিয়ে ঝরিয়ে খায় ।
আজও সে তোমার আমার বাংলা গান-কবিতা খায়
মায়ের সুখগুলো খায়, বলতে যাওয়া কথাগুলো খায়
অবশেষে তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটুকুও সে খায় ।
আজও সে তোমার আমার বাংলা গান-কবিতা খায়
মায়ের সুখগুলো খায়, বলতে যাওয়া কথাগুলো খায়
অবশেষে তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটুকুও সে খায় ।
হে
স্বাধীনতা,
তোমার
রাক্ষুসে মুখের আহার অনির্ণেয় মানুষের মৃত্যুর সমাহার ।
তুমি
ফিরিয়ে নাও তোমার সবকিছু
আমাকে ফিরিয়ে দাও সেইসব আদিম দিন, যেইসব আদিম দিনে-
আমাকে ফিরিয়ে দাও সেইসব আদিম দিন, যেইসব আদিম দিনে-
স্বাধীনতা নামক শব্দটার সৃষ্টির প্রয়োজনই হয়নি ।
অফটপিকঃ
“আর
ক্ষমতার রঙে রঙ্গিন চশমা পড়ে কিছু নারী-পুরুষ নিশ্চুপ থাকে-
নিঃশ্চুপ
থাকে তাদের নারীত্ব, নিঃশ্চুপ থাকে তাদের পুরুষত্ব !
নিঃশ্চুপ
থাকে তাদের মমত্ব, নিঃশ্চুপ থাকে তাদের মানবতা
তারা
মানব শ্রেণির লিঙ্গ বিচারে চতুর্থ পর্যায়ের, বুঝলেন কিনা ? তারা রাজনীতিবিদ !”